রাজধানী উন্নয়ন ফোরাম

রাজধানী উন্নয়ন ফোরাম

ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধিতে আমাদের ঢাকা

ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন আমাদের প্রিয় ঢাকা। কিন্তু যানজট, দূষণ, চাঁদাবাজি আর জলাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জে শহরের স্বাভাবিক গতি আজ থমকে গেছে। শুধু কথায় নয়, আমরা বিশ্বাস করি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আর কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব। রাজধানী উন্নয়ন ফোরাম সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে - আমাদের ঢাকা হবে যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও নিরাপদ। আমরা চাই, আমরা যেন আমাদের এই প্রাণের শহর নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। তাই মেট্রো রেলের পাশাপাশি আধুনিক বাস সার্ভিস, স্মার্ট ট্র্যাফিক ও পার্কিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ—প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা একটি বাস্তবসম্মত সমাধান নিয়ে আসছি। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব শহর বাস্তবে রূপ দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এক নজরে আমাদের কার্যক্রম সমূহ

যানজটমুক্ত ঢাকা

মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ ও মালিবাগ এলাকায় দিনের বড় একটি সময় তীব্র যানজট লেগে থাকে। বাণিজ্যিক এলাকার চাপ, অবৈধ পার্কিং এবং অধিক ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার এর প্রধান কারণ।মেট্রো রেলের সাথে মিলিয়ে আধুনিক বাস সার্ভিস ও ফিডার রুট চালু করা হবে।মতিঝিল, দিলকুশা ও পল্টনে বহুতল পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করে রাস্তা দখলমুক্ত করা হবে।ডিজিটাল ট্র্যাফিক: স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করে ট্র্যাফিক জ্যাম কমানো হবে।

🌳

পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের চলমান ড্রেনেজ ও বক্স কালভার্ট সংস্কার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হবে। এলাকার খালগুলো উদ্ধার ও খনন করে পানি প্রবাহের প্রাকৃতিক পথ উন্মুক্ত করা হবে।বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধে বাণিজ্যিক জেনারেটরের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোতে পরিবেশগত নিয়মাবলী প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। আধুনিক ও সময়াবদ্ধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে নতুন করে পার্ক, খেলার মাঠ এবং সবুজে আচ্ছাদিত উন্মুক্ত স্থান তৈরি করা হবে। নাগরিকদের ‘ছাদ-বাগান’ প্রকল্পে উৎসাহিত করা হবে।

স্মার্ট নাগরিক সেবা

প্রযুক্তি হবে আমাদের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। এর মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজলভ্য ও দুর্নীতিমুক্ত করা হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহ সকল নাগরিক সেবা একটিমাত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রদান করা হবে, যা হয়রানি কমাবে। পার্ক, বাসস্ট্যান্ড এবং পাবলিক লাইব্রেরির মতো জনসমাগম স্থলে বিনামূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হবে।

সমৃদ্ধ অর্থনীতি

মতিঝিল, দিলকুশা ও ফকিরাপুলের অবকাঠামো আধুনিকায়ন করে একে একটি বিশ্বমানের বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে, যা নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।বায়তুল মোকাররম, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক এবং পুরানো স্থাপত্যগুলোকে নিয়ে একটি ‘হেরিটেজ ট্যুরিস্ট সার্কিট’ তৈরি করে পর্যটনকে একটি নতুন অর্থনৈতিক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এলাকার ঐতিহ্যবাহী মুদ্রণ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন

ঢাকা, শহরের প্রাণকেন্দ্র হলেও, এখানে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষ ও বস্তিবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা যেন এক অধরা স্বপ্ন। বিশুদ্ধ পানি, পুষ্টিকর খাবার এবং মানসম্মত চিকিৎসার অভাবে তাদের জীবন প্রায়শই ঝুঁকির মুখে থাকে। অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, খোলা স্থানে বর্জ্য জমা হওয়া, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এখানে রোগ-জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। টাইফয়েড, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ—এগুলো এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। এছাড়াও, গর্ভবতী নারী ও শিশুদের পুষ্টিহীনতা একটি প্রধান সমস্যা, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়। এই জন্য ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য ক্যাম্প,কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন প্রতিস্থাপনে রাজধানী উন্নয়ন ফোরাম কাজ করবে।

সামাজিক সুরক্ষা ও উন্নয়ন

জনসংখ্যার অনুপাতে উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ এবং পার্কের সংখ্যা খুবই কম। যা শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতা এবং অন্যান্য সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড একটি নতুন উদ্বেগ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব, আইন প্রয়োগে দুর্বলতা, জবাবদিহিতার অভাব এবং জনগণের আস্থার অবক্ষয়ের মাধ্যম।তাই এই সমস্যা নিরসনে আইন শৃংখলার উন্নতি, কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।এলাকার সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মোড় এবং পাবলিক প্লেস সিসিটিভির আওতায় এনে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট স্ট্রিট লাইটিংয়ের মাধ্যমে রাতেও এলাকাকে নিরাপদ রাখা হবে।

মতবিনিময় ও গণসচেতনতা

রাজধানী উন্নয়ন ফোরাম বিশ্বাস করে যে, ঢাকার পরিবর্তন শুধু কাগজে-কলমে সম্ভব নয়। এই পরিবর্তন আনতে হলে প্রয়োজন প্রতিটি নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা। আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম হলো মতবিনিময় ও গণসচেতনতা। আমরা মনে করি, শহরের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে জনগণের ভাবনা এবং প্রত্যাশা কী।

“ আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনায়, বাসযোগ্য ঢাকা।”

আমাদের স্বপ্নের পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ঢাকা

ভিশন: স্মার্ট, সুশৃঙ্খল ও নাগরিকবান্ধব ঢাকা-৮

“সবার জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নত, নিরাপদ, পরিবেশ ও জনবান্ধব মানবিক ঢাকা

>> ১. সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ২. সবার জন্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা ৩. সবার জন্য উন্নত অবকাঠামো, সংযোগ ও নাগরিক সুবিধার সবুজ শহর ৪. সবার জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ৫. সবার জন্য কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ৬. সবার জন্য সহজ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ৭. সবার জন্য সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পর্যটন ৮.সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা

ভিশন: স্মার্ট, সুশৃঙ্খল ও নাগরিকবান্ধব ঢাকা-৮

সংবাদ ও প্রেস রিলিজ

সমৃদ্ধ ঢাকা গড়তে যুক্ত হোন

আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হবে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনায়, বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে উঠবে।আসুন রাজধানী উন্নয়ন ফোরামের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।

যুক্ত হোন